উৎপাদনের অগ্রযাত্রায় আমাদের কৃষি
মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল
কৃষির সবুজ মাঠে এখন সূর্যের আলো পড়ে আরো বেশি সোনালি আশায়। করোনাকালেও বোরো ধানের অধিকতর উৎপাদন আর কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুফলে হাওড়সহ সারা বাংলার কৃষকের মুখে যখন আনন্দের হাসি সেই সময়ে উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষকবান্ধব সরকার সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা এবং ব্যাপক গবেষণা ও মাঠের কৃষককে নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মচাঞ্চল্য আমাদের কৃষিকে উৎপাদনের অগ্রযাত্রায় নিয়ে গেছে অনেকদূর। এর পেছনে রয়েছে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপির নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রণোদনা, পুনর্বাসনসহ নানামুখী উদ্যোগ। বর্তমান সরকারের কৃষিতে ধারাবাহিক উন্নয়ন আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপদান করে চলেছে।
জনসাধারণের নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ সাংবিধানিক অধিকার। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা এবং জোগান টেকসই রাখতে বিশ্ববাসীর মনোজগৎ আলোড়িত করতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথ উদ্যোগে ১৬ অক্টোবর সাড়ম্বরে উদ্যাপন করতে যাচ্ছে বিশ^ খাদ্য দিবস ২০২১। এবারের প্রতিপাদ্য Our actions are our future. Better production, better nutrition, a better environment and a better life. এর ভাবানুবাদ হচ্ছে- আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বৈশ্বিক খাদ্য পুষ্টি অর্জনে এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী।
কৃষি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৩.৪৭ শতাংশ। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০, রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর এবং সংস্থাগুলো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের কৃষি চিত্র হয়ে উঠেছে ঐশ^র্যমণ্ডিত। গ্রামীণ জীবন হয়ে উঠেছে বর্ণিল। দেশে যুবসমাজ কৃষি পেশায় নিয়োজিত হওয়ায় কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হচ্ছে। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তে পুষ্টি নিরাপত্তার ধারাও অগ্রসরমান। কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ফসলের উন্নত জাত ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণুজাত দেশে উচ্চমূল্যের ফসল কাজুবাদাম, কফি ও মাল্টা প্রভৃতি চাষের সম্প্রসারণ হচ্ছে। খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ কৃষি অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ক্রমহ্রাসমান আবাদি জমির সাথে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বাড়তি চাপ মোকাবিলা করেও ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৪৫৫.০৪ লাখ মেট্রিক টন দানা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন হয়েছে, শুধু দানাদার ফসল নয় শাকসবজি, আলু, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ প্রায় সব পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে (সারণি দ্রষ্টব্য)।
পাট রপ্তানিতে ও ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। এ ছাড়াও ধান, পাট, পেঁয়াজ, সবজি, আলু, আম, পেয়ারা, চাসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সূচকের ঊর্ধ্বক্রমে। বিগত অর্থবছরে USDA-এর তথ্য অনুসারে ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩য় স্থানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে কৃষি মন্ত্রণালয় এ বছর ৩৩.৬২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন করে। গত বছরের থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন বেশি উৎপাদন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে এ বছরে বিশ্বের ৩য় স্থান অধিকার করেছে।
সারণি : উৎপাদনের অগ্রযাত্রায় আমাদের কৃষি
ফসল | উৎপাদন (লাখ | মেট্রিক টন) |
২০০৯-১০ | ২০২০-২১ | |
চাল | ৩১৩.১৭ | ৩৮৬.০৭ |
পেঁয়াজ | ১৪.২৩ | ৩৩.৬২ |
শাকসবজি | ২৯.০৮ | ১৯৭.১৮ |
আলু | ৫২.৬৮ | ১০৬.১২ |
ডাল ফসল | ১.৯৬ | ৯.৩১ |
তেল ফসল | ৮.৪০ | ১১.৯৯ |
গম | ৮.৪৯ | ১২.৩৪ |
ভুট্টা | ৭.৩০ | ৫৬.৬৩ |
মাছ | ২৮.৯৯ | ৪৫.০৩* |
মাংস | ১২.৬০ | ৮৪.৪০ |
দুধ | ২৩.৭০ | ১১৯.৮৫ |
ডিম (বিলিয়ন) | ৫.৭৪ | ২০.৫৭ |
সংবিধানকে সমুন্নত রেখে আর এদেশের কাউকে পশ্চাতে রেখে নয় (No one will be left behind) নীতি অনুসরণ করেই অতি দরিদ্রসহ সব ধরনের দারিদ্র্য অবসান ঘটানোই এখন বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ সবার সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নত পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের নিমিত্তে সম্ভাব্য সব প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে নানামুখী কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। সবার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতে বায়োটেকনোলজি, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, সুষম সার ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে পুষ্টি গুণাগুণ অক্ষুণ্ন রেখে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে রপ্তানি পর্যন্ত উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে চলতি বছর ২০২০-২১ সালে ১৬২৩ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৫ গুণেরও বেশি। আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে প্রতি বছর ১ লাখ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ প্রণয়নের কাজ চলছে। সম্প্রতি মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষিপণ্য কেনাবেচায় মোবাইল অ্যাপ ‘সদাই’ এর উদ্বোধন করেন। এ অ্যাপটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষিপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করবে। একই সাথে ভোক্তারা যাতে না ঠকে, প্রতারণার শিকার না হয় এবং নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত পণ্য পায় তাতে অ্যাপটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের রপ্তানি খাতকে সমৃদ্ধকরণে দেশব্যাপী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে কৃষিপণ্য বা খাদ্যপণ্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করাসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়াও উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার নিমিত্তে সব ধরনের সারে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি ও সুষ্ঠু বিতরণ অব্যাহত থাকায় কৃষকগণ নিজ এলাকা হতে সার সংগ্রহ করছেন। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে DAP সার কেজিপ্রতি মাত্র ১৬ টাকায় কৃষক পর্যায়ে বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৫০-৭০% ভর্তুকি প্রদান করে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে প্রদত্ত ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যান্ত্রিকীকরণের সুফল পেতে সেই সাথে শুরু হয়েছে সমলয় চাষাবাদ (Synchronized cultivation) ব্যবস্থা। বর্তমান ও বিগত বোরো মৌসুমে উন্নত হারভেস্টারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার আমাদের ধান সংগ্রহে উপকারে এসেছে। কৃষি উপকরণ কার্ড ও ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে কৃষকগণ ফসল উৎপাদনের ঋণ এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা পেয়ে থাকেন। সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করার জন্য কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। গবেষণাগার, অবকাঠামো, উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি বিজ্ঞানীদের মেধাপাচার রোধ ও কৃষিশিক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনশীলতার বর্ধিষ্ণু ধারা অব্যাহত রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কৃষিকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে তালমিলিয়ে চলার জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলছে। সব কৃষকের জন্য স্মার্ট ডিজিটাল কার্ড প্রবর্তনের কাজ চলমান রয়েছে।
মুজিববর্ষের প্রাক্কালে করোনার নির্মম আঘাতে বিশ্ব যখন পর্যুদস্ত, ঘোর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মাঝে পুরো বিশ^ যখন স্থবির তখনো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জায়গা চাষের আওতায় আনয়ন ও পারিবারিক পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২টি করে সবজি-পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৯২ জন কৃষক ও তার পরিবার উপকৃত হবে। সেই সাথে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে আরো ১০০টি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলে ২০% হারে রিবেট প্রদান করা হচ্ছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় বিএডিসির মাধ্যমে পরিচালিত সেচযন্ত্রগুলোর (ভাড়াভিত্তিক) সেচ চার্জ ৫০% হ্রাস করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সব ফসলে ৪% রেয়াতি সুদে ১৯৫০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। করোনার ঝুঁকি মোকাবিলা করে কৃষির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কৃষি খাতে বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ ও প্রণোদনার পরিমাণ।
‘ই-কৃষি’ প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা জোরদার করা হয়েছে। দেশে মোট ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি), কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩), এআইএসটিউব, কৃষি তথ্য বাতায়ন, কৃষক বন্ধু ফোন (৩৩৩১), ই-বুক, অনলাইন সার সুপারিশ, ই-সেচ সেবা, কৃষকের জানালা, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, ডিজিটাল কৃষি ক্যালেন্ডার, বীজতলা বিক্রয়ে ই-সেবা, কমিউনিটি রেডিওসহ বিভিন্ন মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। কৃষিতে সংযুক্ত তরুণ কৃষক, উদ্যোক্তারা তারুণ্যের অমিত শক্তির সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তির এসব অপার সম্ভাবনার মিথস্ক্রিয়ায় বাংলার কৃষি হবে আরো সমৃদ্ধ।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ এক দৃশ্যমান বাস্তবতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে বাংলাদেশ। হাঁটছে- বাংলাদেশের শহিদের লাল রক্তে ভেজা সবুজ মাটিতে সোনালি স্বপ্ন চোখে কৃষক- বাংলার কৃষি- কৃষি মন্ত্রণালয় !!
লেখক : অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।